বেলাশুরু
![]() |
বেলাশুরু |
ভালোবাসা, তাও আবার নিজের থেকে বেশি! কী করে সম্ভব?এক তরুণীর মুখ থেকে অমোঘ এই প্রশ্নটি তুলে ছবির শুরু। তারপর ১৪০ মিনিট ধরে পর্দায় সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়। না, কোথাও ‘রিলেশনশিপ কাউন্সেলর’ হয়ে প্রেম নিয়ে জ্ঞান দেওয়ার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেনি এই পরিচালক জুটি। সে দায়িত্ব ছেড়েছেন দর্শকদের উপর। বিভিন্ন বয়সে ভালোবাসার রং বদলের খণ্ডচিত্র এঁকেছেন মাত্র। এবং তা বেশ সফলভাবেই।
‘বেলাশেষে’-র সাত বছর পর মুক্তি পেল ‘বেলাশুরু’। এই সাত বছর টলিপাড়ার শিবু-নন্দিতা জুটিকে যে আরও পরিণত করেছে তার প্রমাণ ছত্রে ছত্রে। ভালোবাসার মানে কী? বন্ধুত্ব, শরীরি আকর্ষণ না স্রেফ সোহাগে-আদরে বাঁধা পড়ে ভালোবেসে যাওয়া- নৈপুণ্যের সঙ্গে সেই জবাব দিতে সফল পরিচালক জুটি।
‘বেলাশুরু’-কে মেদহীন ছবি হয়তো বলা যাবে না। কিন্তু, সাদা কালো এই জঞ্জালে ভরা মিথ্যে কথার সমাজে এমন নিখাদ একটি প্রেমের গল্প বলার জন্য সাত খুন মাফ করে দেওয়াই যায়। ছবির গল্প এগিয়েছে বিভিন্ন বয়সী সম্পর্কের ওঠাপড়ার খেলা নিয়ে। কেউ জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে সঙ্গীকে চোখের আড়াল করতে নারাজ। আবার কেউ স্রেফ ইগোর বশে বিবাহবিচ্ছেদের জ্বালা ভোগ করে চলেছে।৷ আবার কেউ স্রেফ ইগোর বশে বিবাহবিচ্ছেদের জ্বালা ভোগ করে চলেছে। কারও সম্পর্কের সুতো ছেঁড়ার অপেক্ষায়।কারও সম্পর্কের সুতো ছেঁড়ার অপেক্ষায়। ইস্যু? নো ইস্যু........
মোটকথা বিভিন্ন বয়সের মানুষের ভালবাসার গল্প নিয়ে বেলাশুরু।
অসম বয়সী একাধিক জুটির বিচিত্র এই রংমিলান্তির খেলার শেষে জিতে যায় ভালোবাসা। কোন জাদুবলে সঙ্গীকে নিজের থেকে বেশি ভালোবাসা সম্ভব তার উত্তর দিতে সফল শিবপ্রসাদ ও নন্দিতা।তাঁদের যোগ্য সঙ্গত করেছেন অভিনেতা-অভিনেত্
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও তাঁর সিগনেচার অভিনয়ে অনবদ্য। ঘুরে তাকানো থেকে অ্যালজাইমার্সে আক্রান্ত স্ত্রী আরতির সঙ্গে খুনসুটি, বিশ্বনাথ সরকারের থেকে চোখ ফেরানো দায়।
অপরাজিতা আঢ্য এবং খরাজ মুখোপাধ্যায় তাঁদের চরিত্রে যথাযথ। প্রদীপ ভট্টাচার্যর সঙ্গে খরাজের মজার দৃশ্যগুলি ছাপিয়ে গিয়েছে ‘বেলাশেষে’-কেও।
অসম বয়সী একাধিক জুটির বিচিত্র এই রংমিলান্তির খেলার শেষে জিতে যায় ভালোবাসা। কোন জাদুবলে সঙ্গীকে নিজের থেকে বেশি ভালোবাসা সম্ভব তার উত্তর দিতে সফল শিবপ্রসাদ ও নন্দিতা। তাঁদের যোগ্য সঙ্গত করেছেন অভিনেতা-অভিনেত্
এলজাইমার্সে আক্রান্ত স্ত্রীকে নিয়ে স্বামী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জার্নির গল্প মূলত "বেলাশুরু"।
আবহ ও সংগীত বিভাগে তুখোড় পারফরম্যান্স অনুপম রায় ও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের।
‘বেলাশুরু’ ভালোবাসার এক জ্বলন্ত দলিল হয়ে থেকে যাবে। কারণ??? প্রেমে লজিক থাকে না, থাকে শুধুই ম্যাজিক.......
আর এই ম্যাজিক দেখতে চাইলে ঝটপট যারা এখনো "বেলাশুরু" দেখেন নি তারা দেখে ফেলুন।
0 Comments